লোগো ডিজাইন স্কেচ করার সহজ পদ্ধতি
আমি আমার পরিচিত অনেক ডিজাইনার ভাইয়ের সাথে লোগো ডিজাইনে করার সহজ পদ্ধতি বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা সবাই একই কথা বলে লোগো ডিজাইন করতে চাইলে আগে সৃজনশীল ভাবে ভাবতে জানতে হবে। জন্মগত ভাবে আপনি সৃজনশীল না হলে, আপনাকে এই ক্ষমতা আয়ত্ব করতে হবে।
এজন্য আপনাকে সৃজনশীল কাজ দেখতে হবে, কাজ গুল পর্যালোচনা করতে হবে, কিভাবে কন্সেপ্ট ডেভেলপ করতে হয় এটা নিয়ে ভাবতে হবে, বোঝার চেষ্টা করতে হবে কাজটি কিভাবে হবে। একটা পর্যায়ে দেখেবেন আপনার মাথার মধ্যে কন্সেপ্ট ঘোরাঘুরি করছে।
এখন আসি লোগো ডিজাইনে স্কেচ করার সহজ পদ্ধতি বিষয়ে। লোগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে বলা যায় স্কেচিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। দ্রুততার সাথে ভালো মানের ইউনিক ডিজাইন পাওয়ার জন্য ডিজাইনাররা সফটওয়্যারে ডিজাইন করার আগে কাগজে স্কেচিং করে লোগোর একটা সুন্দর মডেল দাঁড় করিয়ে ফেলেন। এ জন্য ডিজাইনাররা নির্দিষ্ট বিষয়ে তাদের ধারণাকে সফটওয়্যারে ডিজাইন করতে সক্ষম হন। সৃজনশীল লোগোর ডিজাইন করার জন্য ডিজাইনের আগে স্কেচ করে থাকে।
আমরা এখন যে জনপ্রিয় লোগো গুলো দেখে থাকি তার সবগুলোই প্রথম দিকে স্কেচিং ধাপ গমন করেছে। একেক ডিজাইনারের কাজের পদ্ধতি ভিন্ন হলেও স্কেচিং এর ব্যাপারটি একইরকম। কারণ সবাই লোগো ডিজাইন করার আগে স্কেচ করে ফেলে। ভিন্নতা শুধু এখানে কেউ কাগজে ডিজাইন করে, কেউবা কম্পিউটারে। এখন যদি বলেন আমি ছবি আঁকতে পারি না তাদেরকে আমি একটা কথাই বলবো ভাই ডিজাইনার কেউ এক দিনে হয় নি। প্রথম দুই এক বার ভুল হবে তারপর দেখবেন আপনিও পারছেন। আগেই বলেছিলাম, লোগো ডিজাইন এর ক্ষেত্রে স্কেচ করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লোগো ডিজাইন এর ক্ষেত্রে স্কেচ করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন শুরু করি……..
ক্লায়েন্টের ব্র্যান্ড সম্পর্কে ভালো ধারণাঃ

লোগো ডিজাইন করার সময় ডিজাইনারকে প্রথম স্কেচিং করার জন্য ক্লায়েন্টের ব্র্যান্ড সম্পর্কে ভালো করে ভাবনা চিন্তা করতে হবে। আর মাথায় রাখতে হবে তিনি কোন পণ্য নিয়ে কাজ করে, এই পণ্যের ক্রেতা কারা ও আপনার ক্লায়েন্ট এর টার্গেট বাজার কোনটি। এরপর তার উপর ভিত্তি করে কাগজে ক্লায়েন্টের লোগোর স্কেচি আঁকতে হবে।
স্কেচ বিকশিত করতে থাকুনঃ

অনেক গুলো স্কেচ করুন। তার মধ্য থেকে যে স্কেচটি সর্ব উত্তম সেটি বাছাই করে ফেলুন যা আপনার ক্লায়েন্টের মূল উদ্দেশ্য প্রকাশ করবে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে ডিজাইনটি যাতে মার্জিত ও আকর্ষণীয় হয়। এখানে বাড়তি কি যুক্ত করা যায় সেই বিষয় গুলোর দিকে খেয়াল রাখুন।
সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিনঃ

অনলাইনে কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলো আপনাকে স্কেচিং এর জন্য সহায়তা করবে। এই ওয়েবসাইটের কারণে আপনি আপনার টার্গেট পণ্যের মত অনেক ইউনিক লোগো পাবেন। যেমনঃ Flat icon এখানে আপনি হাজার হাজার আইকন পাবেন। আর এই আইকন থেকে ধারণা নিয়ে স্কেচের আইডিয়া ধরে ফেলতে পারেন। এখন আপনার নিজের চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেই আইকনিক ছবিকে মডিফাই/মডারেট করে স্কেচ ডিজাইনটি করে ফেলতে পারবেন।
কালার দিয়ে চেক করুনঃ

স্কেচ করা শেষ হলে তারপর আসুন কালার দিতে। সাদাকালো লোগোর স্কেচ দেখতে তেমন ভালো লাগছে না। স্কেচের উপর কিছু কালার এপলাই করুন। এখানে লোগোতে সঠিক কালার এপলাই করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরণের কালার এপলাই করতে থাকুন। একেক কালার একেক অর্থ প্রকাশ করে থাকে। স্কেচ গুলোর মধ্যে যে স্কেচটি সবচেয়ে ভালো এবং আকর্ষণীয় মনে হবে সেটাকে বাছাই করে নিন আপনার ক্লায়েন্টের জন্য।
ফিনিশিং টাচ

এখন লোগোটিকে ফিনিশিং টাচ দেয়ার কাজ করতে হবে। লোগোটিকে পূর্ণতা দেয়ার সময় মনে রাখতে হবে কোন অংশটুকু সবচেয়ে বেশি এবং কোন অংশটুকু কম গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকু ভালো করে লক্ষণীয় করুন। ঠিক এমন করে একটা কাগজে আঁকা স্কেচ ইউনিক লোগোতে পরিপূর্ণতা পাবে।
ঠিক এভাবেই লোগো স্কেচ করা ডিজাইনের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এই ধাপের উপর ভিত্তি করেই ভালোমানের লোগো তৈরি করা সম্ভব। তাই লোগো ডিজাইনের আগে স্কেচ করার ক্ষেত্রে সমুচিত গুরুত্ব দিতে হবে।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো লোগো স্কেচ করার বিষয়টি,কমেন্ট করতে ভুলো না। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। লেখাগুলো বুজতে কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই। আসসালামু আলাইকুম……।
No comments