ফটোশপে কালার প্যালেট ও কালার মোড
আমরা কম বেশি সবাই ফটোশপ সম্পর্কে জানি। আসলে ফটশপ একটি ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার। অর্থাৎ আমরা ফটোশপ ব্যবহার করে ইমেজ এডিটিং এর যাবতীয় কাজ করে থাকি। আমরা যখন ফটোশপে কাজ করি তখন অনেক কালার ব্যবহার করতে হয়। সেজন্য আমরা কালার প্যালেট ব্যবহার করে থাকি। তাই আমরা এবার জানবো কিভাবে কালার প্যালেট ব্যবহার করতে হয়।
ফটোশপে কালার প্যালেট ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ। কালার প্যালেট ব্যবহার করে ফরগ্রাউন্ড এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কালার নির্বাচন করা যায়। চলুন জেনে নিই ফটোশপের কালার প্যালেটের ব্যবহার সম্পর্কেঃ
রঙ ব্যবহার করার জন্য কিছু টুলস রয়েছে। সর্বপ্রথম এই টুলসগুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
- টুলবক্সের Foreground & Background কালার বক্স ;
- Eye Dropper tool ;
- Point Backer tool ;
- Gradient tool ;
কালার প্যালেটের উপরে ডানদিকের বাটনে ক্লিক করলে পর্দায় কালার প্যালেট মেনু প্রদর্শিত হবে।
মেনু থেকে যে মোড নির্বাচন করা হবে সে মোডেই কালার প্যালেট প্রদর্শিত হবে। যেমন RGB Sliders এবং RGB Spectrum নির্বাচন করলে RGB মোডে কালার প্যালেট প্রদর্শিত হবে।
কালার প্যালেট থেকে রং নির্বাচন করাঃ
তিন ভাবে রঙ নির্বাচন করা যায়ঃ
- স্লাইডার ব্যবহার করে ;
- কালার প্যালেটের নিচে প্রদর্শিত কালার বার থেকে ক্লিক করে ;
- স্লাইডারের ডান পাশের টেক্সট বক্সে সংখ্যা বা মান বসিয়ে ।
Foreground & Background কালারঃ
সব ইমেজেরই ফরগ্রাউন্ড (সামনের অংশ) এবং ব্যাকগ্রাউন্ড (পিছনের অংশ) রয়েছে। ফটোশপ প্যাকেজে
ফরগ্রাউন্ড এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করতে হয় নিম্নক্তভাবে ।
Foreground:
- পেইন্ট করা হয় ।
- কোন নির্বাচিত অংশকে ফিল করা হয়।
- স্ট্রোকে অংশ নিলে কাটা অংশে প্রদর্শিত হয়।
Background:
- গ্রেডিয়েন্ট ফিল করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- ইমেজের অংশ কেটে নিলে কাটা অংশে প্রদর্শিত হয়।
কালার প্যালেট সম্পর্কে জেনে গেলাম। এখন আমরা কথা বলবো কালার মোড সম্পর্কে।
কালার মোডঃ আমরা মূলত ২ টা কালার মোড দেখে থাকি একটা হল RGB আর একটা হল CMYK। কিন্তু আমরা সবাই জানি কি কোন কালার মোডটি কখন কোন জায়গায় ব্যবহার করতে হবে? যারা গ্রাফিক ডিজাইন এ এক্সপার্ট তারা এই আর্টিকেলটি না পরলেই ভালো। কারন, এগুলো তাদের কাছে একদম ডাল ভাত। এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র নতুন দের জন্য, যারা গ্রাফিক ডিজাইন দুনিয়ায় একদম নতুন।
RGB(Red-green-blue) এই ৩ টা কালার এর সমন্বয়ে RGB মোড তৈরি হয়। আমাদের কম্পিউটার এর মনিটর, টেলিভিশন এ আমরা যে কালার দেখতে পারি সেগুলি মুলত RGB কালার। RGB কালার তখনই ব্যবহার করবেন যখন আপনি কোন ছবি অথবা কোন ডিজাইন শুধু মাত্র কম্পিউটার, টেলিভিশন অথবা এরকম device এ দেখবেন বলে ঠিক করেছেন। অথবা ইন্টারনেট সিডি অথবা ইমেইল। মজার ব্যাপার হল RGB কালার প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করবে আপনার বাসার অথবা অফিস এর প্রিন্টার গুলোতে। তাই টুকিটাকি প্রিন্টিং এর কাজ RGB দিয়েই করে ফেলুন।
CMYK(Cyan-Megenta-Yellow-Black) শেষ এর শব্দটার অর্থ নিয়ে একটু সমস্যা হয়ে গেল কি? “K” দিয়ে তো ব্ল্যাক হয় না তাহলে আমি ব্ল্যাক লিখলাম কেন। “K” দিয়ে আসলে Karbon black বুঝায় তাই আর Karbon black না লিখে ব্ল্যাক লেখা। এখন বেশির ভাগ ব্ল্যাকই ব্যবহার করে। আশা করি বিষয়টি আপনাদের কাছে একদম পরিস্কার এখন। এই কালারটা ইঙ্ক এর কালার এবং এইটা অফসেট প্রিন্টিং এ ব্যবহার করা হয়। এক কথায়, প্রেসগুলোতে CMYK ব্যবহার করা হয়। CMYK তখন ব্যবহার করুন, যখন আপনি কোন ফটো অথবা কোন ডিজাইন প্রিন্ট এর জন্য তৈরি করছেন। যেমন আপনি visiting card তৈরি করতে চান আপনার জন্য অথবা আপনার কম্পানির জন্য ।
আর একটা জিনিস জানা হয়তো দরকার সেটা হলো, আপনি যখন ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ফটো তুলছেন সেটা কি RGB তে নাকি CMYK তে উঠেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনারা যখন ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলেন সেটা RGB মুড এ উঠে। আপনি যখন প্রিন্ট করবেন, সেটা যদি বড় আকার এর কিছু না থাকে অর্থাৎ প্রিন্টিং প্রেস এ যাওয়ার প্রয়োজন না পরে RGB মুড এ প্রিন্ট করে ফেলুন। আর যদি প্রেস এ যান তাহলে ফটোশপ এ খুব সহজ এ কালার মুড পরিবর্তন করা যায়।
আপনারা অবশ্যই কালার প্যালেট ও কালার মোড সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে এবং এটি অনেক কাজে আসবে। সবাইকে ধন্যবাদ ও সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি, আসসালামু আলাইকুম।
No comments